জপ মানে কি? ও মন্ত্র মানে কি?
প্রথমে
বলি জপ মানে কি?
এবার
বলছি... মন্ত্র মানে কি?
যা আমার মনকে
বাইরের জগৎ থেকে
টেনে এনে ভগবৎ
পাদপদ্মে ধরে
রাখে তাই হচ্ছে
মন্ত্র।
আর বীজমন্ত্র হচ্ছে,
যে মন্ত্রকে জপের
দ্বারা অন্তরে আধ্যাত্মিক
শক্তির স্ফুরণ হবে,
যে শক্তির জোরে
মানুষ আস্তে আস্তে
ভগবদ্দর্শনের দিকে
নিয়ে যাবে। সেজন্য
জপ করাটাই হচ্ছে
মুখ্য জিনিস। জপের
ভিতর যে বীজমন্ত্র
তার মধ্যে তোমার
সমস্ত আধ্যাত্মিক শক্তি
আছে। জপ না
করলে সেই শক্তির
স্ফুরণ হবে না। সেজন্য শুধু ১০৮ বার জপ করলে কি এগুনো যাবে? বেশী জপ করতে হবে। কিন্তু অনেকেরই হয়তো সংসারের নানা কাজের জন্য বেশী সময় থাকে না। তাদের জন্য বলা হয়েছে, সবসময় তোমরা মনে মনে জপ করো। তোমাদের কাজকর্মের ভিতর মনে মনে জপ কর। যেমন... শ্রী অর্জুনকে শ্রী কৃষ্ণ ভগবান বলছেন...
"তস্মাৎ সর্বেষু কালেষু মামনুস্মর যুদ্ধ্য চ।"
সবসময় আমাকে স্মরণ-মনন কর আর যুদ্ধ কর। এই দুটো একসঙ্গে হবে। তুমি স্মরণ-মনন করতে গিয়ে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে, তা হবে না। তুমি হচ্ছ পাণ্ডবদের প্রধান আশা-ভরসা। তুমি দু মিনিট চুপ করে থাকলে যুদ্ধ কি হয়ে যাবে তার ঠিক নেই। সেজন্য তোমাকে সতর্ক থাকতে হবে। অথচ, তুমি আমাকে ভুলতে পারবে না। এই দুটো একসঙ্গে করতে হবে। ঠিক সেইরকম আমাদেরও সংসারের কাজকর্মের সঙ্গে সঙ্গে ভগবানের নাম নিতে হবে। মনে মনে স্মরণ করতে হবে।
→ Click to watch ←
এটা যদি করতে পার তবে কম সময়ের জন্য কম জপ করলেও অনেকটা পূরণ হয়ে যাবে।আর মনে যেন একটা পরিস্কার ধারণা হয় যে, ১০৮ বার জপ করলে হয়ে গেল তা নয়।
দীক্ষা নিয়ে ১০৮ বার জপ করব, তার জন্য দীক্ষা নয়। তোমাদের জপ করতে হবে সবসময়। মা বলেছেন, " সবাই এসে বলছে কিছু হচ্ছে না। প্রতিদিন দশ-পনেরো হাজার জপ করুক দেখি --- হয় কি না দেখব।"
তার চেয়ে কমই না হয় কিছু হোক। কিন্তু শুধু ১০৮ বার জপ করলে কি হবে? সেজন্য জপের উপর জোর দিতে হবে। জপ করার সঙ্গে-সঙ্গে ঠাকুরের, তোমাদের ইষ্টদেবতার চিন্তা করতে হবে। যদি তোমাদের জপ ঠিকঠাক হয়, তাহলে মন এমনিই ধ্যানে চলে যাবে। তুমি টেরই পাবে না, একসময় আপনিই তোমার জপটপ হাতে গোনা-টোনা এসব বন্ধ হয়ে যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ